এতদিন কি তবে ভুল নিয়মে এস্কেলেটরে চড়লেন?
এস্কেলেটরে চড়ার নিয়মকানুন আমরা কমবেশি সবাই জানি। পথে যেভাবে চলতে হয়, সেভাবেই। একটু বেশি সাবধানতা দরকার, এই আর কি। দাঁড়িয়ে থাকলে, একপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। মাঝে দাঁড়িয়ে পথরোধ করা যাবে না। তবে এক এস্কেলেটর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম বলছে, এতদিন আমরা ভুল নিয়মে এস্কেলেটরে চড়ে এসেছি।
এস্কেলেটর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওটিস এলিভেটর কোম্পানির পরামর্শ হলো, এস্কেলেটরে উঠে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে মাঝ বরাবর। আর সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য দুহাতে দুপাশের রেলিং ধরে থাকতে হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিসি এ তথ্য প্রকাশ করে।
ওয়েব পোর্টাল লাইফহ্যাকার অবশ্য জানিয়েছে, ওটিসের নিরাপত্তা নির্দেশিকায় একসঙ্গে দুপাশের নিরাপত্তা রেলিং আঁকড়ে ধরতে সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেনি বটে, তবে দৃঢ়ভাবে রেলিং আঁকড়ে ধরতে এবং ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে সামনে তাকিয়ে থাকে বলেছে। আর এস্কেলেটরে আপনার সামনে কেউ যদি মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে তবে ধাক্কা না লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার উপায় থাকে না।
অবশ্য ওপরের দিকে হোক বা নিচের দিকে, এস্কেলেটরে হেঁটে এগিয়ে যাওয়ার তেমন বিশেষ কোনো সুবিধা নেই। কারণ আপনি হেঁটে এগিয়ে গেলে বাঁচবে বড়জোর কয়েক সেকেন্ড। তবে গবেষণা বলছে, সব মানুষ যদি এস্কেলেটরে দাঁড়িয়ে থাকত, ডানে-বাঁয়ে দুই লেনেই (একমুখী এস্কেলেটরেও লেন দুটি), তবে এস্কেলেটর প্রতি মিনিটে গড়ে ৩১ জন অতিরিক্ত মানুষ বহন করতে পারত। অবশ্য ফাঁকা এস্কেলেটরে সে হিসাব খাটে না।
যা হোক, এস্কেলেটরে হেঁটে এগিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে আরও যুক্তি আছে। জাপান ও চীনের গবেষণার সূত্র ধরে সিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা এস্কেলেটরে হেঁটে উঠতে চান, তাঁরা শুধু যে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ান, তা-ই না, যন্ত্রটিরও ক্ষতি করেন।
ওটিসের নিরাপত্তায় নির্দেশনায় বিশেষভাবে মাথায় রাখতে বলা হয়েছে
- বন্ধ এস্কেলেটর সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করবেন না
- হেলান দেবেন না
- লাঠি নিয়ে উঠবেন না (বৃদ্ধরা হাঁটার জন্য যে লাঠি ব্যবহার করেন)
- বসবেন না
- বিশেষ করে এস্কেলেটরের সবচেয়ে ওপরের ও নিচের ধাপকে নিজের বসার ঘর ভাববেন না
- চোখে বাইফোকাল চশমা থাকলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন
- শিশুদের এক হাতে শক্ত করে ধরুন
- এস্কেলেটরের ধাপ এবং পাশ থেকে ঢিলেঢালা পোশাক সাবধানে রাখুন