হজমশক্তি বৃদ্ধির সহজ পাঁচটি উপায়

 হজমশক্তি বৃদ্ধির সহজ পাঁচটি উপায়

কেবল ভালো খাবার নয়, সুস্থ জীবনের জন্য ভালো হজমশক্তিও দরকার। ছবি: পিক্সাবে

খাবার ঠিকঠাক হজম না হলে শরীরে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। ফলাফল হিসেবে ওজন বেড়ে যায়, ইউরিক এসিড বেড়ে যায়, রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যেতে পারে, আবার লিপিড প্রোফাইলেও বিরূপ প্রভাব দেখা দেয়। তাই সুস্থ শরীরের জন্য চাই স্বাভাবিক হজমপ্রক্রিয়া। আজ আমরা হজমশক্তি বাড়ানোর কিছু কৌশল জানবো।

বুঝেশুনে খাবার খেতে হবে

খাবারে শাক থাকলে সেটি তেলে রান্না করতে হবে। অন্যদিকে মাংস জাতীয় কিছু খেলে সঙ্গে লেবু রাখতে হবে। প্রতিবেলা খাওয়া শেষে অল্প লেবু-পানি খেতে পারেন, হজমে উপকার পেতে পারেন। আবার খাওয়া শুরুর আগে জিহ্বাতে অল্প একটু লবণ স্পর্শ করিয়ে নিতে পারেন। গাট ব্যাকটেরিয়া হজম প্রক্রিয়ায় গতি আনে। প্রাকৃতিকভাবে এর ভালো উৎস হচ্ছে দই। দিনে দেড় শ থেকে দুই শ মিলিলিটার দই খেতে পারেন।

নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন

হজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অঙ্গগুলোর ব্যায়াম করতে হবে। বিশেষ করে যে ব্যায়ামগুলোতে আমাদের কোমরের দিকটার অঙ্গগুলোর চর্চা হয়, সেগুলো করলে উপকার মিলতে পারে।

জীবনটাকে আরেকটু সহজ করতে লাইফস্টাইল নিয়ে আরও লেখা পড়ুন

কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক। যেমন রিভলভিং চেয়ারে বসতে পারেন, এতে নড়াচড়া সহজ হয়। আবার টুইস্টিং পদ্ধতিতে বসে থাকতে পারেন। এভাবে বসলে শরীরের ওপরের অংশ একদিকে এবং নিচের অংশ আরেক দিকে থাকে।

আবার শুয়ে ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে দুই পা উঁচু করে রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে পা দুটি চক্রাকারে অর্থাৎ বাঁ থেকে ডানে এবং ডান থেকে বাঁয়ে ঘোরাতে হবে। আরেকটি কাজ হলো, একই জায়গায় দাঁড়িয়ে জগিং বা হালকা করে লাফাতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।

নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ুন

শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা দরকার। নাক দিয়ে লম্বা শ্বাস নিয়ে ছাড়তে হবে মুখ দিয়ে, সেটাও লম্বা করেই। এতে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক থাকে, হজমেও উপকার মেলে।

সব সময় পর্যবেক্ষণ করতে হবে

কোন খাবারগুলো হজমে সমস্যা করছে, তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জানতে হবে। সাধারণত অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত, ভাজাপোড়া, টক জাতীয় খাবার হজমের ভারসাম্য নষ্ট করে। আবার অনেকের দুধ খেলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। তবে একেবারে বাদ না দিয়ে ক্রমে দুধের সহ্যশক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। আর হজমে সমস্যার মূলে সুনির্দিষ্ট ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে সেটাও ঠিক করে ফেলা সম্ভব।

বেশি রাতজাগা যাবে না

রাতে পরিবেশে অক্সিজেন একটু কমই থাকে। আবার ফুসফুসের অনেকাংশ অব্যবহৃত থাকে। তাই রাতে জেগে থাকলে শরীরে অক্সিজেন-ঘাটতি দেখা দেয় কারণ সব অঙ্গ সচল থাকে। তাই বেশি রাতজাগা হজমের জন্য ভালো না।

আরও পড়ুন

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.