যে কৌশল জানলে আপনি কখনো কারও নাম ভুলে যাবেন না
মনে করুন, কেউ এসে তাঁর নাম বলে পরিচিত হতে চাইল। আপনিও নিজের নাম বলে করমর্দন করলেন। এর খানিক পরেই স্মৃতি হাতড়েও পেলেন না, লোকটা তাঁর নাম কী বলেছিল। এমনটা অনেকেরই হয়। কারও কারও প্রায়ই হয়। আবার অনেক সময়, লোকটার সঙ্গে পুনরায় দেখা না হওয়া পর্যন্ত আমরা বুঝিও না যে নামটা ভুলে গিয়েছি। চাইলে তাঁকে আবার জিজ্ঞেস করে নামটা জেনে নিতে পারেন। ফেসবুকে খানিক ঘাঁটাঘাঁটি করলেও হয়তো পাবেন। তবে একটা সহজ কৌশল মনে রাখলেই আর এত শত ঝামেলায় পড়তে হবে না।
কৌশলটা বাতলে দিয়েছে ওয়েব পোর্টাল লাইফহ্যাকার। মনে করুন, কেউ এসে তাঁর নাম বলল ‘মানিক’। এর পরপরই মনে মনে (উচ্চারণ করতে যাবেন না) তাঁর নাম বারবার পুনরাবৃত্তি করুন। এতে লোকটার তাঁর নাম একবার বললেও আপনি ‘শুনবেন’ বারবার। এতে লোকটার চেহারার সঙ্গে তাঁর নাম গেঁথে যাবে আপনার মনে।
এখন মানিক যদি কথোপকথন চালিয়ে যান, তবে তাঁর চেহারা এবং নামের সঙ্গে তিনি যা যা বললেন, তা-ও মনে থাকবে। কথোপকথনের শুরুতে যা শুধু একটি নাম ছিল, এখন চেহারা-নাম-তথ্য মিলিয়ে লোকটা সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। অন্যভাবে বললে, কারও নাম ভোলা কঠিন হয়ে যায় যখন নামটা শুধুই নাম থাকে না।
আরেকটা কৌশল হলো, কেউ যখন প্রথমবার তাঁর নাম বলল, সঙ্গে সঙ্গে সে নাম নিয়ে খানিকক্ষণ আলোচনা করা। কারণ পরবর্তীতে সে আলোচনা বেমানান ঠেকতে পারে। আপনি তাঁর নামের বানান জানতে চাইতে পারেন। ‘আপনি মানিক লেখেন কীভাবে? দীর্ঘ-ঈ নাকি হ্রস্ব-ই?’ অবশ্য মানিকের বেলায় সে প্রশ্ন করার সুযোগ নেই। মানিক একটি পরিচিত নাম। জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘মানিক কি ডাক নাম? সঙ্গে আর কিছু আছে?’ বা অবস্থা বুঝে এ ধরনের আলোচনা চালাতে পারেন।
অনেক সময় শুধু মনে মনে না বলে, জোরেও উচ্চারণ করতে পারেন। ‘মানিক, পরিচিত হয়ে ভালো লাগছে।’ কিংবা কথোপকথনের শেষে বলতে পারেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা বলে ভালো লেগেছে, মানিক।’
সবচেয়ে বড় কথা, কারও সঙ্গে দেখা হবে বলে মনে হলে, কথোপকথনের শুরুতেই ঠিক করে ফেলা উচিত লোকটার নাম মনে রাখবেন কি না। এতে ব্যাপারটা সহজ হয়ে যাবে।