ইগলের পিছু নিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ফতুর

 ইগলের পিছু নিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ফতুর

ইগলের পিছু নিতে গিয়ে জনসাধারণের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন বিজ্ঞানীদল। প্রতীকী ছবি

ইগলের পিঠে ট্র্যাকিং যন্ত্র লাগিয়েছিলেন একদল বিজ্ঞানী। এ যন্ত্রের কাজ হলো নির্দিষ্ট সময় পরপর এসএমএসে অবস্থান জানানো। তবে ইগলেরা দেশান্তরী হওয়াতে এসএমএসের সঙ্গে অতিরিক্ত যুক্ত হয়েছে রোমিং চার্জ। সে খরচ এতটাই যে ওই বিজ্ঞানীরা রীতিমতো ফতুর হতে বসেছেন। এখন জনসাধারণের কাছে জানিয়েছেন সাহায্যের আবেদন।

ইগলের পিঠে লাগানো ট্র্যাকিং ডিভাইস
ইগলের পিঠে লাগানো ট্র্যাকিং ডিভাইস

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মিন নামের এক ইগল এত দূরে গিয়েছে যে ওর সঙ্গে যুক্ত যন্ত্র যত এসএমএস পাঠিয়েছে, তাতেই পুরো প্রকল্পের বাজেট ফুরিয়ে গেছে। ধারণা করা হয়েছিল, মিন রাশিয়া থেকে উড়ে বড়জোর কাজাখস্তান পর্যন্ত যাবে। তাতে জিপিএসের মাধ্যমে পাওয়া অবস্থানের তথ্য কয়েকবার এসএমএসে পাঠাতে হতো। তাতে প্রতি এসএমএসে ৩০ সেন্ট (২৫ টাকা ৫০ পয়সার মতো) খরচ হতো। কিন্তু মিন উড়ে সোজা ইরান চলে যায়। সেখান থেকে প্রতি এসএমএসে খরচ হয়েছে ৭৭ সেন্ট বা ৬৫ টাকার মতো।

‘ওরা আমাদের অর্থশূন্য করে গেছে।’ রাশিয়ান র‍্যাপটরস রিসার্চ অ্যান্ড কনজারভেশন নেটওয়ার্কের ইগোর কারিয়াকিনের গলা থেকে যেন দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এল।

আনন্দের কথা হলো, বিজ্ঞানীদের ওই দল ইগলদের পেছনে খরচ হওয়া অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন। ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে সাহায্যের যে আবেদন তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাতে এক লাখ রুবলের বেশি জমা পড়েছে। ১ হাজার ৫৬৩ ডলারের মতো। এতে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত ট্র্যাকারের খরচ মিলছে। এক গবেষক ফেসবুকে এ কথা জানিয়েছেন। আরও বলেছেন, তাঁরা মেগাফোনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি মিনের পেছনে ইরানে খরচ হওয়া অর্থ মওকুফ করে দিচ্ছে। আর ইগলগুলো ট্র্যাক করার খরচও কমিয়ে দিচ্ছে।

এই প্রতিবেদন লেখার আগে খবর পেলাম মিন এখন ইয়েমেনে। আপনি চাইলে রাশিয়ান র‍্যাপটরস রিসার্চ অ্যান্ড কনজারভেশন নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইট থেকে মানচিত্রে ওই ইগলগুলোর পথ অনুসরণ করতে পারেন।

    আরও পড়ুন

    মন্তব্য করুন

    Your email address will not be published.