উড়োজাহাজের সবচেয়ে নিরাপদ আসন যেখানে

 উড়োজাহাজের সবচেয়ে নিরাপদ আসন যেখানে

বিমানে আপনার অগ্রাধিকার কী, তার ওপর নির্ভর করে আসন ঠিক করা উচিত। ছবি: পিক্সাবে

বিমানে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখলেন, পেছনের গুটি কয়েক আসন ছাড়া বাকি সব দখল হয়ে গেছে। তা-ও আছে শুধু মধ্যের কলামে। উইন্ডো সিট নেই। কেমন লাগবে? খারাপ যদি লাগে তবে বলে রাখি, ওগুলোই বিমানের সবচেয়ে নিরাপদ আসন।

১৯৮৫ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে ১৭টি বিমান দুর্ঘটনার তথ্য নিয়ে ২০১৫ সালে খানিকটা গবেষণা চালায় টাইম সাময়িকী। বিমানের ডগা থেকে লেজ পর্যন্ত তিন অংশে ভাগ করলে দেখা যায়, পেছনের এক-তৃতীয়াংশে ক্ষয়ক্ষতির হার ৩২ শতাংশ, মধ্যের এক-তৃতীয়াংশে ৩৯ শতাংশ এবং সামনের এক-তৃতীয়াংশে ৩৮ শতাংশ।

এই পরিসংখ্যানের যথেষ্ট আবেদন না থাকলে জনিয়ে রাখি, শেষের দিকে মধ্যের আসনগুলোতে দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির হার ২৮ শতাংশ। আর মধ্যের এক-তৃতীয়াংশের আইল সিটে ক্ষয়ক্ষতির এই হার ৪৪ শতাংশ।

টাইম সাময়িকীর মতোই একই ধরনের ফলাফল পাওয়া যায় পপুলার মেকানিকস সাময়িকীর গবেষণায়। ২০০৭ সালে পূর্ববর্তী ৫০ বছরের ২০টি বিমান দুর্ঘটনার তথ্য তারা জরিপে ব্যবহার করে। তারা ক্ষয়ক্ষতির হারের হিসাব না করে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা হিসাব করে দেখে। আপনি যদি বিমানের কেবিনের শেষাংশে বসেন তবে দুর্ঘটনায় বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। শেষাংশে বসলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৬৯ শতাংশ। পাখার কাছাকাছি কিংবা প্রথম সারির আসনগুলোতে (সাধারণত প্রথম শ্রেণি) বেঁচে থাকার হার ৪৯ শতাংশ।

দুটি জরিপেই বলা হয়েছে, বেশ কিছু দুর্ঘটনায় বেঁচে থাকার হার বিমানের কেবিন ভেদে আলাদা ছিল না। আর টাইম পরিষ্কার করেছে, দুর্ঘটনার কারণ আমলে না নিয়ে এই ফলাফল শতভাগ সঠিকও নয়। কারণ বিমানের লেজে কোনো সমস্যা হলে পেছনের কেবিন কীভাবে সবচেয়ে নিরাপদ হবে?

জরিপের সমস্যা এবং আমাদের জন্য স্বস্তির বিষয় হলো, জরিপ চালানোর মতো যথেষ্ট বিমান দুর্ঘটনার নজির নেই। আর সে কারণে সরাসরি উপসংহারে পৌঁছানো ঠিক হবে না। মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের জনসংযোগ ব্যবস্থাপক লিন লানসফোর্ড মার্কিন পত্রিকা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে এ কথাই বলেছেন।

সুতরাং, বিমানে দুর্ঘটনার ভাবনা না ভেবে পছন্দের আসনে বসে বালিসে মাথা এলিয়ে দিন। বিমানে ভালো ঘুম চাইলে জেনে রাখুন কিছু কৌশল।

আরও পড়ুন

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.