নির্বাচনের সময় মহাকাশে থাকা নভোচারীরা ভোট দেন কীভাবে
নির্বাচনে ভোট দিতে যেতে যদি আলসেমি লাগে তো জানিয়ে রাখি, পৃথিবীর ২০০ মাইল ওপর থেকে ভোট দিয়েছেন মার্কিন নভোচারী কেট রুবিনস।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের মৌসুম চলছে। পরবর্তী চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউসের দখল কে নেবেন, সে ফয়সালা হবে ৩ নভেম্বর। ভোটারদের মধ্যে নিশ্চয় উত্তেজনা কাজ করছে। তবে রুবিনস তাতে শামিল হতে পারেননি, কারণ মার্কিন ভোটারদের মধ্যে কেবল তিনিই এখন পৃথিবীর বাইরে।
রুবিনস জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে ভোট দিয়েছেন তিনি।
এর আগেও মহাকাশ থেকে ভোট দিয়েছেন রুবিনস। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়েও তিনি আইএসএসে ছিলেন।
দুই রুশ নভোচারীর সঙ্গে এ মাসেই নতুন অভিযান শুরু করেন রুবিনস। এক্সপেডিশন ৬৪-এর অংশ হিসেবে মহাকাশে এবার তিনি মোট ছয় মাস থাকবেন বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মহাকাশে যেভাবে ভোট দেওয়া যায়
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধিত ভোটাররা ১৯৯৭ সাল থেকে মহাশূন্যে বসেও ভোট দিতে পারছেন। ভোট গ্রহণের সময় মহাকাশে থাকলে নভোচারীরা এ সুবিধা পাবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন টেক্সাসের নীতিনির্ধারকেরা।
নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের অবস্থান হিউস্টনে। নভোচারীরা সচরাচর ওই শহর বা আশপাশেই থাকেন। আর ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেন হ্যারিস কাউন্টিতে।
হ্যারিস কাউন্টি ক্লার্কের কার্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক ব্যালট পেপার আপলোড করা হয় নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের মিশন কন্ট্রোল সেন্টারে। অবশ্যই যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা মাথায় রেখে। নাসার নভোচারীরা তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করে ইলেকট্রনিক ব্যালট পেপারে ভোট দেন। এরপর সেটি আবার ই-মেইলে পাঠানো হয় হ্যারিস কাউন্টি ক্লার্কের কার্যালয়ে।