সোজা পথে কাজ হলে অযথা বাঁকা করা হয় কেন

 সোজা পথে কাজ হলে অযথা বাঁকা করা হয় কেন

সোজা পথ তৈরি করলে দূরত্ব অনেক কমে যায়, তবু আঁকাবাঁকা করে তৈরি করার কারণ তো আছেই

জানি না কেবল আমার বেলায় কি না, তবে ফেসবুকে মাঝেমধ্যেই একটা ছবি দেখা যায়। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তার সে ছবিতে প্রশ্ন জুড়ে দেয়া হয়- যেখানে সংক্ষিপ্ত ও সরল পথ তৈরি করলেই হয়ে যেত, সেখানে অযথা আঁকাবাঁকা করে দীর্ঘ সড়ক তৈরির যুক্তি কী? চলুন আমরা যুক্তি খোঁজার চেষ্টা করি।

শক্তিশালী ইঞ্জিনের কোনো কার হয়তো ঠিকঠাক গিয়ারে খাড়া পাহাড় বেয়ে অনেক দূর উঠে যেতে পারবে। তবে পণ্যবোঝাই বিশাল কোনো ট্রাকের বেলায় সে কথা বলার সুযোগ নেই। আবার খাড়া পাহাড়ি ঢাল বেয়ে ভারী বাহনের দ্রুতগতিতে নেমে আসাও অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।

কৌতূহল যাদের বেশি, তাদের জন্য অহেতুক সব প্রশ্নের উত্তর আছে এখানে

ঢাল বেয়ে চড়াই-উতরাইয়ের হিসাব কষা হয় পেরোনো দূরত্ব আর উচ্চতার অনুপাত নির্ণয়ের মাধ্যমে। যেমন ৫০০ মিটারের কোনো পথ পেরোতে যদি ৫০ মিটার উঁচুতে উঠতে হয় তবে সে পথের ঢাল হলো ১০ শতাংশ। আবার একই পথ পেরোতে যদি ২৫ মিটার উঁচুতে উঠতে হয় তবে সে রাস্তার ঢাল হলো ৫ শতাংশ।

এমন হিসাবে কম দূরত্বের পথে ৮ থেকে ১৫ শতাংশ ঢাল থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত নির্দেশক চিহ্ন থাকতে হবে পথে। আর দূরের যাত্রায় কিংবা ভারী বাহন চালানোর ক্ষেত্রে খাড়া ঢাল বেয়ে ওঠা বা নামা দুটোই বিপজ্জনক। আর এসব কারণেই বলা যায়, পাহাড়ি ঢাল বেয়ে সোজা উঠে গেলে সেটা সংক্ষিপ্ত পথ হতে পারে, তবে সব সময় সেরা পথ হওয়া জরুরি নয়।

এবার আশা যাক শিরোনামের প্রশ্নে। ঢাল যত বেশি হবে, সে পথ বেয়ে উঠতে শক্তি তত বেশি লাগবে। আর সে কারণেই ঢাল কমাতে পাহাড়ি পথ আঁকাবাঁকা করা হয়। এতে দূরত্ব বেড়ে যায়, একই উচ্চতায় কম ঢাল বেয়ে ওঠা যায়। গাড়ির ইঞ্জিন তুলনামূলক কম শক্তিশালী হলেও চলে, নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কাও কমে যায়।

আরও পড়ুন

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.